মোবাইলের একটি অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের জন্য বর্তমান বিশ্বে উপলব্ধ আধুনিক এবং প্রযুক্তির তালিকা দিন দিন বেরেই চলেছে । কেননা বর্তমান এই প্রতিযোগিতার বাজারে ডেভেলপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিগুলো নিজেদের খুব দ্রুত বিকাশিত করছেন এবং তারা নিয়মিতভাবে নতুন নতুন প্ল্যাটফর্ম আমাদের সামনে আবির্ভূত করছেন।
আর এর ফলে আমাদের জন্য সঠিক ও উপযুক্ত মোবাইল ডেভেলপমেন্ট টুলস খুজে বের করা খুব কষ্ট কর হয়ে দারিয়ে । বিশেষ করে নতুনদের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে । কেননা তাদেরকে এর জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে অন্বেষণ করতে হবে এবং তাদেরকে সেগুলো সম্পর্কে জানতে ও শিখতে হবে ।
তবে আজ আমি এই আর্টিকেল এ এমন কিছু আইওএস অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট টুলস নিয়ে আলোচনা করবো যা ২০২৪ সালে বাজারে রাজত্ব করতে চলেছে।
কেননা এতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের একটি ভবিষ্যদ্বাণী ছিল যে ২০২৩ সালের মধ্যে মোবাইল অ্যাপ থেকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি গুলো প্রায় $৯৩৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করবেন। কারন বর্তমান সময়ে লোকেরা তাদের চাহিদার পরিবর্তন করছেন । আর এই লোকেদের পরিবর্তন এর সাথে তাদের ব্যবসাগুলিকে সেই পরিবর্তনগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন । আর এই পরিবর্তন ও প্রতিযোগিতার বাজারে আপনাকে সেরা অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির অংশ হতে হলে, আপনার জন্য এই iOS অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট টুলস বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া আপনি যদি বেশিরভাগ iOS অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্রবণতা সঠিক ভাবে লক্ষ্য না করে থাকেন। তাহলে এই প্রতিযোগী কোম্পানির মধ্যে আপনার অবস্থানটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরবে।
তবে আপনাকে একটি iOS মোবাইল ডেভেলপমেন্ট টুলস বেঁছে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে ৪ টি দিক বিবেচনা করতে হবে।
নম্বর – ১, এর ব্যবহার যোগ্যতাঃ
প্রথমত একটি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট টুলস ও একজন ব্যবহারকারীর মধ্যে এক বান্ধব থাকা উচিৎ। কেননা একজন ব্যবহারকারীর প্রত্যাশা অনুযায়ী এবং দক্ষতার সাথে সেই অ্যাপটির কাজ করা উচিৎ । তাই, ডেভেলপমেন্ট টুলটির সঠিক মূল্যায়ন ও সামগ্রিক ফাংশন এবং এর ব্যবহারযোগ্যতা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ।
নম্বর – ২, এর বাজেটঃ
সেরা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট টুলস বেঁছে নেওয়ার সময় আপনাকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি বাজেট মেক করতে হবে । আর আপনি যদি এই বাজেট মেক না করেন তাহলে, এটা আপনার জন্য একটি ব্রেক ফ্যাক্টর হতে পারে । আপনি নিশ্চয় জানেন একটি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর জন্য বিভিন্ন দিক রয়েছে। যেমন, একটি ব্যাকএন্ড বা অবকাঠামো মেক/তৈরি করা, লাইসেন্স করা এবং একটি অ্যাপ্লিকেশন মেক করা বা স্থাপন করা । আর এই সব উন্নয়ন প্রক্রিয়াটিকে অনেক ব্যয় বহুল করে থাকে ।
সাধারনত আপনি একটি ক্লাসিক্যাল মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করেন তা হল, আপনি আপনার স্ক্র্যাচ থেকে আপনার জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করার জন্য একটি ডেভেলপারদের দল নিয়োগ করলেন । আর এটি করাটা অনেক ব্যয় বহুল পদ্ধতি । কারন এখানে অনেক পেশাদার একসাথে কাজ করবে এবং এর জন্য অনেক অর্থ নিবে ।
এছাড়াও একটি নির্ভরযোগ্য অ্যাপ বিকাশ পদ্ধতি হলো, একটি দক্ষ NO-CODE প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা । এবং এটা আপনাকে কম অর্থ ব্যয়ে দ্রুত অ্যাপ বানিয়ে বা তৈরি করে দিয়ে থাকে । NO-CODE প্ল্যাটফর্ম গুলি আপনাকে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি সব ধরনের উন্নয়ন প্রদান করে থেকে খুব খরচে ।
নম্বর – ৩, নিরাপত্তাঃ
নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট অ্যাপ তৈরিতে বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জাম ও কিছু বৈশিষ্ট্য প্রদান করে থাকে যা একটি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়া চলাকালীন সময় ও এর স্থাপনের পর যেনো নিরাপৎ এবং সুরিক্ষিত থাকে। আর এর কারণেই বেশিরভাগ ডেভেলপাররা তাদের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়াকে নিরাপদ ও দক্ষ করার জন্য বিভিন্ন iOS ও অ্যান্ড্রয়েড এর ডেভেলপমেন্ট টুলের নিরাপত্তার উপর বিশেষ জোর দিয়ে থাকেন।
নম্বর – ৪, এর স্থাপনাঃ
আপনি হয়তো জানেন যে, একটি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট টুলস এর পরিমাপযগ্যতা তার কর্মক্ষমতা এবং এটির প্রাপ্যতা স্থাপনাকে সুদুরভাবে প্রভাবিত করে থাকে । এছাড়া আপনাকে এটাও জানা উচিৎ যে, কিভবে একটি ডেভেলপমেন্ট টুলস আপনাকে একটি অ্যাপ বজায় রাখতে এবং এর আপগ্রেডগুলি পরিবর্তন করতে দিয়ে থাকে । থার্ড পার্টি কিছু টুলস রয়েছে যেগুল আপনার টুলস ও আপনার সার্ভিসের সাথে ডিপ্লোয়মেন্ট কে প্রভাবিত করে থাকে । এবং আপনার অ্যাপ এর পারফর্মেন্স কেও প্রভাবিত করে থাকে। একখন আপনাকে নিরধারন করতে হবে যে, আপনি আপনার অ্যাপ এর উপর কতটা নিয়ন্ত্রণ চান এবং আপনি সেটাকে সথিকভাবে কাস্টমাইজ করতে পারবেন ।
একটি উপযুক্ত ডেভেলপমেন্ট টুলস বেছে নেওয়া এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
একটি উপযুক্ত ডেভেলপমেন্ট টুলস বেছে নেওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম । কেননা একটি উপযুক্ত টুলস নির্বাচন করা যেকোনো মোবাইল অ্যাপ এর জন্য একটি সাফল্যের । অন্যথায়, নিম্নমানের ও খারাপ ব্যাবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য আপনার মোবাইল অ্যাপ টি ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে । আর জন্যই আপনাকে একটি সঠিক ও নির্ভরযোগ্য মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট টুলস বেছে নেওয়া।
এখানে শীর্ষ ১০ টি iOS অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট টুলস ও এদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো । যা আপনাকে ২০২৪ সালে আপনার অ্যাপগুলিকে খুব বাধ্যতামূলক এবং যথেষ্ট প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
১০ টি শীর্ষ iOS অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট টুলস ঃ
১. সুইফট-৬ (Swift-6)
সুইফট-৬ (Swift-6) এটি একটি সর্বোত্তম-ফিট প্রোগ্রামিং যা সকল ভাষা বেছে নেওয়ার মাধ্যমে তার যাত্রা শুরু করে। এটি iOS ডেভেলপারদের জন্য । এবং সুইফ্ট নিজেকে ব্যবহার এবং শেখার জন্য সুবিধাজনক এবং একটি নিম্ন টুল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছে । সুইফট-৬ (Swift-6) এমন একটি প্রগ্রামিং যা ছোট এবং বড় সকল স্কেলর কোম্পানীর সকল iOS অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট টিম দ্বারা এটির ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে । LinkedIn, apple, SkyGuide এবং স্ল্যাক এর মতো কোম্পানি এই সুইফট-৬ (Swift-6) ব্যবহার করছে ।
iOS অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে সুইফট কেন এত উৎপাদনশীল এবং সুবিধাজনক?
সুইফট-৬ (Swift-6) এর API এবং মডিউল স্থায়িত্ব, সামঞ্জস্যতা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি iOS বিকাশকারীদের কোডের গুণগতমান এবং যুক্তিতে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।
২. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং (Ai and Machine Learning)
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিংয়ের প্রযুক্তি iOS অ্যাপের বিকাশে নতুন নয়। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Ai) এবং মেশিন লার্নিং এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে আপনি চমৎকার বক্তৃতা এবং মুখের স্বীকৃতি, সিরি পাঠ্য এবং অনুসন্ধানের সুপারিশ ছাড়া একটি iOS অ্যাপে সফল হওয়ার কথা কখনো ভাবতেও পারবেন না।
আর এই বৈশিষ্ট্যগুলি এখন কাস্টম iOS অ্যাপ বিকাশের জন্য আরও বিস্তৃত। এই কারণেই AI এবং ML বাস্তবায়ন ২০২২ থেকে শুরু করে ২০২৪ এবং এর পরেও সর্বদা অগ্রণী প্রবণতা হবে সারা বিশ্বে ।
৩. বর্ধিত বাস্তবতা (Augmented Reality)
বর্ধিত রিয়েলিটি হলো iOS ডেভেলপমেন্টের সবচেয়ে সফল বাস্তবায়িত সাম্প্রতিক প্রবণতা। যা সাম্প্রতিক বছরগুলি iOS প্ল্যাটফর্মে মানব ক্রিয়াকলাপের কার্যত সমস্ত সম্ভাব্য শাখার সত্যিকারের বর্ধিত রিয়েলিটি ম্যানিয়ায় পরিণত করেছে । এছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা, নকশা এবং বিপণন সহ আরও কয়েকটি শাখায় বিস্তৃত হয়ে পরেছে এই iOS ডেভেলপমেন্ট প্রযুক্তি ।
এই iOS অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ট্রেন্ডের ধারণা বিভিন্ন জায়ান্ট যেমন, L'Oreal বা IKEA-র মত জায়ান্টরাও অনুসরণ করছেন । তারা এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের অনুভব করাচ্ছে যে, কীভাবে পণ্যগুলি তাদের স্থাপন করা পরিবেশে ভিজ্যুয়ালাইজ করা যায়। এবং এটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহ বিভিন্ন কাজকে আরও সুবিধাজনক এবং দক্ষ করে তুলেছে ।
৪. জিনিসের ইন্টারনেট (Internet of Things)
ক্লায়েন্টদের দৈনন্দিন জীবনে IoT হচ্ছে একটি নিখুঁত ও স্বচ্ছ পরিবর্তনের জন্য iOS অ্যাপ ডেভেলপমেন্টকে গুরুত্বের সাথে আবদ্ধ করার IoT হচ্ছে একটি নিখুঁত উদাহরণ । IoT প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের একক সিস্টেমে এক সাথে সমস্ত ডিভাইস সংযোগ করার অনুমতি দিয়ে থাকে। আর এর জন্য ব্যবহারকারীরা নির্বিঘ্নে এটি ব্যবহার করতে পারে ।
৫. অ্যাপ ক্লিপস (App Clips)
আপনি কি এমন ভাবে একটি iOS মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন, যা একজন ব্যবহারকারী অ্যাপ ডাউনলোড বা ইন্সটল না করেই ব্যবহার করতে পারবে ?
এর জন্য অ্যাপ ক্লিপগুলি হচ্ছে একটি নেতৃস্থানীয় সমাধান হতে পারেন আপনার জন্য যা একটি আধুনিক iOS অ্যাপ প্রবণতার মধ্যে রয়েছে। আপনি এই অ্যাপ ক্লিপ ডেভেলপমেন্ট টুলস দিয়ে ব্যবহারকারীর জন্য অ্যাপ তৈরি করতে পারেন । যা একজন ব্যবহারকারীর ব্যবহারের জন্য ডাউনলোড বা ইন্সটল করার কোন প্রয়োজন পরবেনা । আর এই প্রযুক্তিটি ব্যবহারকারীদের তাদের অনুমানের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ বিভাগ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে থাকে ।
এই অ্যাপ ক্লিপগুলির মাধ্যমে বিল পরিশোধ, ভাড়ায় বাইক, একটি হোটেল বুক করা এবং অন্যান্য অনুরূপ কাজগুলি করার জন্য এবং পরিবেশন করার জন্য সরাসরি একজন ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারেন । এই অ্যাপ গুলি খুবই কার্যকরী বিনিয়োগ অ্যাপ হতে পারে আপনার জন্য ।এছাড়াও একজন ব্যবহারকারী QR কোড স্ক্যান বা একটি নির্দিষ্ট লিঙ্ক ব্যবহার করার মাধ্যমেও এই অ্যাপ এর সুবিধা ভোগ করতে পারেন।
৬. ক্লাউডকিট (The CloudKit)
ক্লাউড-ভিত্তিক iOS অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট গুলি ২০২২ সাল থেকে শীর্ষ iOS অ্যাপ বিকাশের প্রবণতাগুলির মাধ্যমে অনন্য স্থানগুলির সাথে নিজেদেরকে চিহ্নিত করে তুলেছে । কারন এই ক্লাউডকিট এ ডেটার স্তূপ সংরক্ষণ, সংগঠিত এবং পরিচালনা করার সম্ভাবনা রয়েছে । আর এটা তারা দৈনন্দিন ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা ব্যাহত না করেই করে থাকে । ক্লাউডকিট হল একটি iOS অ্যাপ ডেভেলপ করার জন্য নতুন এবং আরও ভালো একটি উপায় এবং তথ্য পরিবেশন এবং স্থানান্তর করার জন্য একটি বিশেষ টুল । আমরা এই ক্লাউডকিট এর মাধ্যমে অনেক জটিল কাজগুলির মোকাবেলা করা এবং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীর প্রত্যাশা অনুযায়ী সীমাবদ্ধতা পেতে পারি খুব সহজেই । ক্লাউডকিট ভিত্তিক iOS অ্যাপ তৈরি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ক্লাউডকিটটি বিবেচনা করতে হবে । এই ক্লাউডকিট বিবেচনার প্রধান কারণগুলি নিম্নরূপ:
a) কনফিগারেশন সুবিধা এবং সহজ
b) অতিরিক্ত লাইব্রেরি ব্যবহার করে
c) সুবিধাজনক প্রতিষ্ঠান পরিচালনায়
৬. পরিধানযোগ্য (The Wearable)
আপনারা অবশ্যই জানেন যা, এই গ্যাজেটগুলি বাজারে একদম নতুন নয়। তারা বর্তমান এই আধুনিক বাজারের পরিসংখ্যানে ফিটনেস স্মার্টওয়াচ এবং ট্র্যাকার হিসেবে সাহায্য করে থাকে । এবং এর বিস্তার ২০২৪ সাল এবং এর পরেও বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়নেরও বেশি সংযুক্ত পরিধানযোগ্য গ্যাজেট হিসাবে তাদের বিস্তার লাভ করে।
পরিধানযোগ্য গ্যাজেট যেমন, সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ট্র্যাক করা, ফিটনেস লক্ষ্য অর্জন সহ আরও সুবিধাজনক এবং দ্রুত যোগাযোগ করা, উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করা এবং নিয়মিত কাজগুলি আরও দক্ষতার সাথে সম্পাদন করার জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠবে ।
৮. আই বিয়াকন (iBeacon)
iBeacon এমন একটি উদীয়মান ব্লুটুথ প্রযুক্তি যা কম শক্তিবর্ধমান সকল ধরণের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে । iBeacon একটি জিপিএসের চেয়েও সঠিক প্রযুক্তি যা একটি বন্ধ বিল্ডিং বা বদ্ধ জায়গাতেও কাজ করতে সক্ষম । iBeacon সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের কাছে তাদের লক্ষ্যযুক্ত বিপণন বার্তা প্রেরণে এবং সহায়তা করে থাকে । আপনি এই iBeacon এর মাধ্যমে অন্যদের মঝে বিজ্ঞাপন অনুস্মারক এবং বিশেষ অফার পাঠাতে পারবেন খুব সহজেই। এই iBeacon বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ যায়গায় যেমন, যাদুঘর, স্টেডিয়াম, হোটেল, বিমানবন্দর এবং অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । iBeacons হচ্ছে একটি বিকাশ এবং বিপণন অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে দ্রুত এবং প্রচলিত একটি নতুন সরঞ্জাম ।
৯. চ্যাটবট (Chatbot)
চ্যাটবট হলো iOS অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের মধ্যে নতুন একটি বাজওয়ার্ড। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পূর্ণ চ্যাটবট সফ্টওয়্যারটি একটি কোম্পানিতে ক্লায়েন্ট সার্ভিস বা এক্সিকিউটিভদের দলের সাথেও প্রতিস্থাপিত করা হয়ে থাকে । ক্রমবর্ধমান চ্যাটবট সফ্টওয়্যারটি বা অ্যাপ বিভিন্ন এন্টারপ্রাইজ তাদের অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা এই চ্যাটবটগুলিকে একটি iOS অ্যাপ্লিকেশন বিকাশের প্রবণতার অংশ করে তুলেছে । চ্যাটবট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়ীক ক্লায়েন্টদের পরিষেবা এবং স্বয়ংক্রিয় হওয়ার মাধ্যমে এ থেকে উপকৃত হতে পারবেন ।
১০. নিরাপত্তা (Security)
নিরাপত্তা বা গোপনীয়তার দিক বিবেচনা করলে ধারাবাহিকভাবে এই অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট গুলির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যা ২০২৪ সালে iOS অ্যাপ্লিকেশন কে একটি বিকাশিত রূপ দিবে । আর এই iOS অত্যন্ত সুরক্ষিত। তবুও, আপনার একটি iOS মোবাইল অ্যাপ তৈরি করার ক্ষেত্রে এর নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো বিবেচনা করা উচিত ।কেননা আজকাল সাইবার সিকিউরিটি সমস্যাগুলি ব্যবসার জন্য প্রচুর হুমকি ও ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে । আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই নিরাপত্তার এই বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে ।
শক্তিশালী অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন প্রক্রিয়া
i) সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা
চাহিদা বোঝা কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি বিকাশকারীদের ব্যবসার লক্ষ্যগুলি জানতে সাহায্য করে । আর এর জন্য এই বিষয় গুলি অ্যাপটিতে আপনাকে সুন্দর করে পূরণ করতে হবে । আপনি আপনার সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং মূল কারণগুলি নির্ধারণ করতে এটাকে বিশ্লেষণ করুন যা উন্নয়ন ব্যয় এবং সময় দুটোকেই প্রভাবিত করবে।
ii) UI/UX ডিজাইন
আপনাকে অবশ্যই এর ডিজাইন এর দিকে লক্ষ রাখতে হবে । কেননা একটি অ্যাপকে সফল করতে ব্যবহারকারীর ডিজাইন এবং অভিজ্ঞতার উপর ফোকাস করা অত্যান্ত জরুরী ।
iii) গুণগতমানের নিশ্চয়তা
আপনাকে অবশ্যই একটি আদর্শ অ্যাপ সরবরাহ করতে হবে । আপনাকে এটি বারবার পরীক্ষা করতে হবে এবং এর গুণগতমানের নিশ্চিত করতে হবে ব্যবহারকারীর জন্য । এর জন্য আপনি বিভিন্ন উন্নত পরীক্ষার কৌশল ব্যবহার করতে পারেন । এবং আপনাকে অ্যাপ এর বিভিন্ন ত্রুটির দিকেও নজর রাখতে হবে । এর জন্য আপনাকে অ্যাপের যেকোন ধরনের সমস্যা বা ত্রুটি দ্রুত সমাধান করতে হবে । আর এটা না করতে পারলে আপনার অ্যাপ ব্যর্থ হয়ে পরবে ।
iv) স্থাপনা
আপনার তৈরিকৃত অ্যাপ টি হোস্টিং সার্ভারে স্থাপন করার আগে আপনাকে এর ব্যবহারযোগ্যতা এবং স্থিতিশীলতা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য আপনি আপনি উপলব্ধ বিভিন্ন ফর্ম ব্যবহার করে এটি পরীক্ষা করতে পারেন । এবং আপনি এই অ্যাপ টি স্থাপন করার আগে কোনও ত্রুটি বা অবাঞ্ছিত পরিবর্তন থাকলে তা ঠিক করে তারপর এটিকে হোস্টিং সার্ভারে স্থাপন করুন ।
v) রক্ষণাবেক্ষণ
হোস্টিং সার্ভারে স্থাপন করার পরে অবশ্যই আপনাকে এটিকে লাইভ এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিং এ রাখতে হবে । আপনাকে এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে, পরিবর্তনশীল এই বাজারের চাহিদার সাথে আপনার অ্যাপ টি মানানসই রয়েছি কিনা । আর জন্য আপনাকে আপনার অ্যাপ আপডেট হবে ।
উপরন্তে,
বর্তমান বিশ্বে এই iOS মোবাইল অ্যাপগুলি তাদের শিকড় প্রসারিত করবে এবং প্রতিদিন জনপ্রিয়তা হার বৃদ্ধি পাবে এটা বলাই বাহুল্য । আর আপনার কাছে এই জনপ্রিয় iOS অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে প্রথমে একটি সময়সাপেক্ষ কাজ বলে মনে হতে পারে। তবে এই সেরা iOS অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট টুলস কোম্পানি আপনার শক্তি এবং সময় বাঁচাবে এবং সেরা অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
এখন আপনার পছন্দ আপনিএই ডেভেলপমেন্ট টুলস এর মধ্য থেকে কোন অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট টুলস টি বেছে নিবেন আপনার জন্য ।
Post a Comment
0Comments